কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

স্ত্রীর অত্যাচারে ওজন কমেছে স্বামীর, অত:পর

স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারে ওজন কমেছে ২১ কেজি। এর জেরে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেছে এক যুবক। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী এক যুবক ২০১২-তে বিয়ে করেন এক শিক্ষিকাকে। তাদের একটি মেয়েও রয়েছে। শারীরিক সমস্যার কারণে ওই যুবক কানে খুবই কম শোনেন। তার অভিযোগ, বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই নানা অজুহাতে ঝামেলা শুরু করেন তার স্ত্রী। হঠাৎ হঠাৎ মাথা গরম করে এমন সব কাণ্ড করতেন তার স্ত্রী যার জন্য নিত্যদিন তাদের ঘরে অশান্তি লেগে থাকত।

যুবকের অভিযোগ, স্ত্রীর অতিরিক্ত মেজাজ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে অর্থ ব্যয়ের স্বভাব তার জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী কখনই শ্বশুরবাড়িতে মানিতে চলার চেষ্টা করেননি। বরং প্রায়ই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতেন।

যুবকের দাবি, তিনি কখনওই কিছু বলতেন না এই ভেবে যে, এক দিন সব ঠিক হয়ে যাবে, স্ত্রী নিজের ভুল বুঝতে পারবেন। কিন্তু দিন যত গেছে তার স্ত্রীর মানসিক অত্যাচার আরও বেড়ে গেছে বলেও জানান ওই যুবক।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে একবার মেয়ে আর স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী। সেই সঙ্গে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি নিয়ে তার উপরে অত্যাচারের অভিযোগও তোলেন যুবকের স্ত্রী। সে কারণেই যুবককে বাড়িছাড়া হতে হয়। এ পরিস্থিতিতে স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারে ওই যুবকের ওজন ৭৪ থেকে থেকে ৫৩ কেজিতে নেমে আসে। পরে ওই যুবক আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করে মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে নিম্ন আদালত যুবকের বিয়েবিচ্ছেদের দাবি মঞ্জুর করলেও স্ত্রীর পাল্টা আবেদনে শেষমেশ মামলাটি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা উচ্চ আদালতে পৌঁছায়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি, স্বামীর বিরুদ্ধে ওই নারীর অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা বুঝতে পারেন আদালত। সব বিষয় খতিয়ে দেখার পরই আদালত যুবকের বিয়ে বিচ্ছেদের রায় বহাল রাখে।

পাঠকের মতামত: